বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

হবিগঞ্জে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগ চরমে

নিজস্ব সংবাদদাতা : শুক্রবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টির ফলে হবিগঞ্জ শহরের প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে জন দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন অলিগলিতে হাটু পানি পর্যন্ত জমে যাওয়া ফলে ও দ্রুত পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় দুর্ভোগ আরো স্থায়িত্ব হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।

এছাড়াও শহরের বেশ কয়েকটি নিচু পাড়ার বাসা বাড়িতেও পানি প্রবেশ করছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, জলাবদ্ধতা নিরসনে পৌর কর্তৃপক্ষ ও হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যকরি পদক্ষেপন নিচ্ছে না।

সরেজমিনে শহরের শায়েস্তানগর হকার্স মার্কেট, শ্যামলী এলাকা, গরুর বাজার, অনন্তপুর, পানি উন্নয়ন বোর্ড সড়ক, শায়েস্তানগর আবাসিক এলাকা, ঘাটিয়া বাজার ও সার্কিট হাউজ মোড় এলাকাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে দেখা যায় অবিরাম বৃষ্টির ফলে প্রতিটি মোড়ে মোড়ে পানি জমে আছে। আবার অনেক বাসা বাড়িতেও পানি প্রবেশ করছে। আর এতে করে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার টাকা মূল্যবান আসবাবপত্র। আর এর জন্য পুরাতন খোয়াই নদীসহ বিভিন্ন ডোবা এবং নালা দখল ও অপরিকল্পিত আবাসনকে দায়ী করছেন সচেতন মহল।

শহরের শায়েস্তানগর এলাকার ব্যবসায়ী সালমান আহমেদ জানান, সকাল থেকে টানা বৃষ্টির ফলে শহরের প্রধান সড়কের হকার্স মার্কেটের সামনে হাটু পানি লেগে আছে। প্রতিনিয়তই কয়েক ঘন্টা বৃষ্টি হলে এখানে এভাবে পানি জমে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। স্থবিরতা দেখা দেয় ব্যবসা বানিজ্যে। ব্যবসায়ীরা উন্নত মানের ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জন্য দাবী জানালেও কাজের কাজ হচ্ছে না কিছুই।

শিক্ষার্থী তারেক হাসান জানান, হবিগঞ্জ শহরের জলাবদ্ধতা নিত্য দিনের সঙ্গী। বৃষ্টি মানেই হবিগঞ্জ শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে এ বিষয়টা পরিস্কার। শহরের পুরাতন খোয়াই নদী দখল মুক্ত না করা ও পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকাই জলাবদ্ধতার মূল কারণ। তাই দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাজে দাবী জানান তিনি।

গৃহবধু তাসলিমা আক্তার জানান, জলবাদ্ধতার কারণে আমাদের বাসা বাড়িতে পানি প্রবেশ করছে। যে কারণে ছোট ছোট বাচ্চারা বাসা থেকে বেড় হতে পারছে না। একই সাথে রান্না বান্না করতেও অনেক অসুবিধা হচ্ছে। বাসায় পানি প্রবেশের কারণে তাদের অনেক মালামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম জানান, পৌর কর্তৃপক্ষ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সমন্বয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনে আমারা একটি মাস্টার প্লেন গ্রহণ করতে যাচ্ছি। পর্যাপ্ত পরিমান অর্থ পেলে দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।

হবিগঞ্জ পৌরসভার নব-নির্বাচিত মেয়র মিজানুর রহমান মিজান জানান, আমি শবেমাত্র মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। এখনও দায়িত্ব গ্রহণ করিনি। তবে শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন আমার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। জলাবদ্ধতা নিরসন করতে পৌর এলাকার নাগরিকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে একটি মাস্টার প্লেন তৈরী করা হবে। এ প্লেন অনুযায়ী কাজ করে জলাবদ্ধাতা থেকে শহাবাসিকে রক্ষা করা হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com